জ্যোতির্ময় মণ্ডল, মন্তেশ্বরঃ মন্তেশ্বর ব্লকের মন্তেশ্বর অঞ্চলের আসানপুর, সাহাপুর, রুইগড়িয়াগ্রাম সহ ৪-৫টি গ্রামের গৌতমডাঙ্গা চতুষ্পল্লী বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলন উৎসব। যা ২ দিন ধরে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গৌতমডাঙ্গা চতুষ্পল্লী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার মণ্ডল, বিদ্যালয়ের সভাপতি ভুবন কুমার ঘোষ জানান, এই বিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই এই বছরই বিদ্যালয় ৫০বছরে পদার্পণ করল। এই বিদ্যালয়ে ৫০ বছর পূর্তি ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলন উৎসব উপলক্ষে সকালে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে আসানপুর, সাহাপুর, রুইগড়িয়াগ্রাম সহ ৪-৫টি গ্রাম পরিক্রমার মাধ্যমে প্রভাতফেরি করা হয়। বেলা ১১টায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ, মন্তেশ্বরের বিডিও বিদ্যালয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করার হয় এবং অতিথি বরণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার ঘোষ উদ্বোধনী ভাষন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা নাচ গান আবৃত্তি, করার মাধ্যমে মন্তেশ্বরে বিডিও সঞ্জয় দাস ও
মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্যে বিদ্যালয় সম্পর্কে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা সমাজ গঠনের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ এবং বিদ্যালয়ের ৫০বছরের তাৎপর্য তুলে ধরা সহ বিদ্যালয়ের রাস্তা, বিদ্যালয়ের কিছু বিল্ডিং, বিদ্যালয়ের প্রাচীর সহ কিছু সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলির ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারে কথা দিয়ে গেলেন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ, এই বিদ্যালয়ের মঞ্চ থেকে। পাশাপাশি আসানপুর গ্রামের বাসিন্দা অনঙ্গমোহন দে , উনার স্ত্রী মিরা দে, বিদ্যালয়ের গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যার্থে ২ লক্ষ টাকা দান করে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন এই মঞ্চ থেকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গৌতমডাঙ্গা চতুষ্পল্লী বিদ্যালয়ের ৫০বছর পূর্তি ও প্রাক্তন প্রতিষ্ঠিত ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলন উৎসব দুই দিনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন উপস্থিত ছিলেন মন্তেশ্বরের বিডিও সঞ্জয় দাস, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ,বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা।
Social