টুডে নিউজ সার্ভিসঃ এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তবুও মুর্শিদাবাদ লাগোয়া কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে নদীয়া জেলার কালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত করার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে যে অশান্তি বা অস্থিরতা চলছে আর আজ পড়েছে মুর্শিদাবাদ লাগোয়া নদীয়া জেলাতেও। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি রানাঘাটের সাংসদের। লাগোয়া জেলায় যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ আন্দোলনের নামে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জেরে মুর্শিদাবাদ-নদীয়া সীমানার কালীগঞ্জ বিধানসভা এলাকাই শুধু নয় নদীয়া জেলার বিভিন্ন অংশে যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের অপদার্থতা উল্লেখ করে রানাঘাটের সাংসদ চিঠিতে আরও জানিয়েছেন যে এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ অন্যত্র চলে গেছেন, আতঙ্কে রয়েছেন। এ ধরনের সন্ত্রস্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সাফল্য প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ। এমতাবস্থায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন সম্পন্ন করা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছেন জগন্নাথ সরকার। উল্লেখযোগ্য গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কালীগঞ্জ বিধানসভার প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী একটি বিধানসভা ক্ষেত্র সর্বোচ্চ ছয় মাস বিধায়কহীন থাকতে পারে। ছয় মাসের মধ্যে সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। হিসেব অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সূত্রে যা খবর মে মাসের মাঝামাঝি কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে নির্ঘণ্টক প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু কালীগঞ্জ বিধানসভা নয় কালীগঞ্জ সহ দেশের ৮ টি বিধানসভায় একসঙ্গে উপনির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ওয়াকফ অশান্তিকে সামনে রেখে নদীয়া জেলার বিজেপি সাংসদদের এই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি কতটা গ্রাহ্য করবে কমিশন? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল অবশ্য বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের এই চিঠির প্রেক্ষিতে কোন মন্তব্য করতে চাননি। প্রসঙ্গত রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে এই চিঠি লেখা হলেও চিঠিতে যে দপ্তরের ঠিকানা লেখা হয়েছে তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়। সেক্ষেত্রে এই চিঠির তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের কর্মীরাই।