টুডে নিউজ সার্ভিসঃ শীত মানেই নলেন গুড়, মুখে মিলিয়ে যাওয়া সন্দেশ। এবার সেই নলেন গুড়ের সন্দেশ পেল নয়া সম্মান। মিলল জিআই ট্যাগ পেল বাংলার এই গর্ব। এর আগে ২০১৭-তে বাংলার রসগোল্লা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে তার প্রাপ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। তবে বাংলার আরও তিন ঐতিহ্য তথা মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মোতিচুরের লাড্ডু ও কামারপুকুরের সাদা বোঁদেও।
এর পাশাপাশি মালদার নিস্তারি সিল্ক, রাঁধুনিপাগল চাল (শীতের এক সুগন্ধি চাল) ও বারুইপুরের পেয়ারাও পেয়েছে এই সম্মান। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৫টি জিনিস রয়েছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগের তালিকায়। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, জয়নগরের মোয়াও জায়গা পেয়েছে রসগোল্লার পাশেই। জিআই তকমা পেলে বিদেশের বাজারে আলাদা সম্মান পেতে শুরু করে ওই খাবার। বাংলার প্রায় প্রতিটা জেলাতেই ছড়িয়ে আছে কিছু না কিছু ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। সেগুলিই এবার স্বীকৃতি পাচ্ছে। জিআই ট্যাগ মেলার পরে স্বাদ-মান বজায় রাখা সেখানে বিশেষ জরুরি হয়ে পড়ে। দামও বাড়ে অনেক সময়। কোনও অঞ্চলের বিশেষত্ব এবং বিশেষ গুণসম্পন্ন কোনও জিনিসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় নির্দিষ্ট এক চিহ্ন দিয়ে। বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের অন্তর্গত শিল্প প্রচার এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের তরফ থেকে থেকে দেওয়া হয় এই সম্মান। প্রসঙ্গত, কোনও খাবার জিআই তকমা পাওয়ার আগে তার কেমিক্যাল এবং মাইক্রো বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় বলে জানা যায়। কী কী উপাদান রয়েছে তাতে, তার পুষ্টিগুণই বা কী, সেইসবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এক্ষেত্রে। ইতিহাস ঘেঁটে ওই খাবারের যাবতীয় রেকর্ড, তৈরির পদ্ধতি সবটাই পাঠানো হয় সরকারি দফতরে, যাতে জিনিসটির আসল জায়গা তথা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তারপর সরকারিভাবে নানা কাঠখড় পুড়িয়ে আনা হয় পেটেন্ট, জিআই তকমা।