ফেসবুকে আলাপ, ১০ লাখের গয়না হাতাতেই খুন বান্ধবীকে!

Prabir Mondal
4 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, বিধাননগরঃ ফেসবুকেই আলাপ। আলাপ প্রেমে গড়াতে সময় নেয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার বান্ধবীর সঙ্গে স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরায় ভিডিও চ্যাটও করত ফেসবুক প্রেমিক। মাত্র মাসদেড়েকের ‘অনলাইন সম্পর্ক’! সেই প্রেমের টানেই দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে মহিলা মুর্শিদাবাদ থেকে সোজা চলে আসেন বারাসতে, প্রেমিকের ফ্ল্যাটে।
সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনার গয়না। তারপর দু’জনে গল্প, আড্ডা, বেড়ানো। প্রথম কয়েকদিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, ফ্ল্যাট কিনে অনেক টাকা ঋণ প্রেমিকের ঘাড়ে। তাই সমস্ত গয়নাচেয়ে বসে সে। বান্ধবী রাজি হয়নি। শেষপর্যন্ত ১০ লাখি গয়না হাতাতেই বান্ধবীকে খুন করে ওই প্রেমিক!বাগুইআটির ট্রলিব্যাগ কাণ্ডের কিনারায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিসের হাতে পাকড়াও হয়েছে প্রেমিক। ধৃতের নাম কৌশিক প্রামাণিক। সে ডিভোর্সি। কাজ করত মার্চেন্ট নেভিতে। বারাসতের একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে তার। জেরায় পুলিসের কাছে গয়নার জন্য বান্ধবীকে খুনের কথা কবুল করেছে কৌশিক। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রিয়া ধর (৩০)। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা। পুলিসের অবশ্য দাবি, তাঁর আসল নাম জেসমিন খাতুন। বিয়ের পর তিনি রিয়া হন।
গত ২২ এপ্রিল সকালে বাগুইআটি থানার প্রতিবেশিপাড়ায় পরিত্যক্ত ট্রলিব্যাগের ভিতর এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে বাগুইআটি থানার পুলিস। পরে মৃতার পরিচয় জানা যায়। পুলিস জানিয়েছে, কৌশিকের সঙ্গে রিয়ার ফেসবুকে প্রেম চলছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তাঁর স্বামী। গত ২ এপ্রিল নবগ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রিয়া। তিনি কৌশিকের কাছে চলে এসেছিলেন। দু’জনে দীঘা, মন্দারমণিতে ঘুরতেও যান। গত ২১ এপ্রিল তাঁরা ফিরে আসেন বারাসতের ফ্ল্যাটে। ঠিক পরদিন, অর্থাৎ ২২ এপ্রিল সেখানেই রিয়াকে খুন করে কৌশিক। তারপর একটি অ্যাপ ক্যাব নিয়ে বাগুইআটিতে আসে। ক্যাব থেকে নেমে ট্রলিবন্দি দেহ নিয়ে হেঁটেই সে ঢুকেছিল প্রতিবেশিপাড়ায়। বছর দু’য়েক আগে এখানেই ভাড়া থাকত কৌশিক। তাই দেহ ফেলার জন্য পুরনো পাড়াকেই বেছে নিয়েছিল।
গত ২২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন রিয়ার স্বামী। এফআইআরে কৌশিকের নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বারাসত থেকে কৌশিককে প্রথমে গ্রেপ্তার করে নবগ্রাম থানার পুলিস। তারপর বৃহস্পতিবার বাগুইআটি থানা খুনের কিনারা করেছে। তদন্তে নেমে ২৫০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস। তাতেই কৌশিককে ট্রলিব্যাগ টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায়। যে ক্যাব থেকে সে নেমেছিল, সেটিকে চিহ্নিত করে পুলিস। ক্যাব চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, বারাসত থেকেই ওই যুবক উঠেছিল। সঙ্গে ছিল একটি ভারী ট্রলিব্যাগ! তারপরই জেরায় রিয়াকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করে কৌশিক। জানায়, বান্ধবীর শরীর ঠান্ডা হওয়ার আগেই দেহ ভরেছিল ট্রলিব্যাগে।
বিধাননগর: ফেসবুকেই আলাপ। আলাপ প্রেমে গড়াতে সময় নেয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার বান্ধবীর সঙ্গে স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরায় ভিডিও চ্যাটও করত ফেসবুক প্রেমিক। মাত্র মাসদেড়েকের ‘অনলাইন সম্পর্ক’! সেই প্রেমের টানেই দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে মহিলা মুর্শিদাবাদ থেকে সোজা চলে আসেন বারাসতে, প্রেমিকের ফ্ল্যাটে। সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনার গয়না। তারপর দু’জনে গল্প, আড্ডা, বেড়ানো। প্রথম কয়েকদিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, ফ্ল্যাট কিনে অনেক টাকা ঋণ প্রেমিকের ঘাড়ে। তাই সমস্ত গয়নাচেয়ে বসে সে। বান্ধবী রাজি হয়নি। শেষপর্যন্ত ১০ লাখি গয়না হাতাতেই বান্ধবীকে খুন করে ওই প্রেমিক!বাগুইআটির ট্রলিব্যাগ কাণ্ডের কিনারায় উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিসের হাতে পাকড়াও হয়েছে প্রেমিক। ধৃতের নাম কৌশিক প্রামাণিক। সে ডিভোর্সি। কাজ করত মার্চেন্ট নেভিতে। বারাসতের একটি অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে তার। জেরায় পুলিসের কাছে গয়নার জন্য বান্ধবীকে খুনের কথা কবুল করেছে কৌশিক। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম রিয়া ধর (৩০)। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা। পুলিসের অবশ্য দাবি, তাঁর আসল নাম জেসমিন খাতুন। বিয়ের পর তিনি রিয়া হন।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *