টুডে নিউজ সার্ভিসঃ ভুত আছে কি নেই সেই নিয়ে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে তর্ক। ভুত বলে কিছু হয়না, ওইসব গুজব, এমনটা অনেকেই বিশ্বাস করেন। তাদের জন্য আজ রইল ভুত আছে কি নেই সেই তথ্য জানার এক সেরা ঠিকানা। যা রয়েছে কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের মধ্যেই, চলুন এবার দেখা নেওয়া যাক রহস্য রোমাঞ্চে ঘেরা সেই ভূতুরে জায়গার কিছু দৃশ্য।ছোট বেলায় খাবার না খেলে গা ছমছমে ভুতের কাহিনী শোনাতেন দাদু বা ঠাম্মারা। সেই সব গল্পগুলোর কথা ভাবলে এখন হাসি পায়। ভুত আছে কি নেই, এই নিয়ে এক এক জনের মত এক এক রকম। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন অনেকেই। বলা যেতে পারে সন্ধ্যে বেলা চায়ের দোকানে তর্ক বিতর্কের হট টপিক এটি। যারা বিশ্বাস করেননা তারা বুকের পাটা নিয়ে বলে থাকেন সামনে ‘ভুত’ আসলে দেখে নেব। তাই তাদের জন্য তেনাদের দেখা পাওয়া এবং রাত জেগে লণ্ঠনের আলো জ্বালানো কোন এক টেন্টে বসে ভুতের গল্প শোনার আদর্শ জায়গা হল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার মঙ্গলগঞ্জ ।নিকষ কালো চারপাশ, টেন্টে বসেই জলের এক অদ্ভুত ধ্বনি কানে ভেসে আসবে, ভয় পেয়ে যাবেন না যেন, ইছামতী নদী বয়ে যাওয়ার শব্দ, সারি সারি দিয়ে দাঁড় করানো থাকে একাধিক নৌকা, সেই নৌকোর গায়ের নদীর জল ধাক্কা লেগেও শোনা যায় এক অদ্ভুতুড়ে শব্দ।
এই মঙ্গলগঞ্জেই রয়েছে একটি নীলকুঠী, যা কালের যুগে এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। আর এখানেই ভুতের বাস। ভাগ্য খারাপ থাকলে অনুভূতির পাশাপাশি দেখাও দেবে আপনাকে। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের ঠিক পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে এই নদী, আর নীলকুঠী যেতে গেলে এই নদীতে নৌকোবিহার করে পৌঁছতে হয়। এখানে যারা ঘুরতে আসেন সাধারণত তারা সাধারণত রাতের বেলা মশাল জালিয়ে জঙ্গল সফরে বের হন। ভয়, রহস্য ও রোমাঞ্চে ভরা এই জঙ্গলসফর আপনার মনে থাকবে চিরকাল, মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে বাদুরের দল, যত নীলকুঠির দিকে এগোনো যায় অনুভব করা যায় আশেপাশে থাকা অশরীরীদের।কয়েকশো বছর আগে এই নীলকুঠি তৈরি করেছিলেন গোবরডাঙ্গার জমিদার লক্ষণচন্দ্র আইচ ।
মূলত ব্যবসা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই কুঠি পরবর্তীতে নীলকর সাহেবদের দখলে চলে যায়। এখানেই নীল চাষিদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাত নীলকর সাহেবরা। তাহলে কি এই কুঠি থেকে ভেসে আসা আর্তনাদ কি তাদের? সেই বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে কাঠের তৈরি ছোট ছোট কটেজ, রয়েছে টেন্টও। এখানে সুস্বাদু খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সপ্তাহান্তের ছুটিতে এই ভৌতিক পরিবেশের স্বাদ পেতে চাইলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান বনগাঁ স্টেশন, সেখান থেকে অটো বা বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন মঙ্গলগঞ্জের ক্যাম্পসাইটে।
Social