টুডে নিউজ সার্ভিসঃ আবার পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতির জেরে মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার এই মামলার শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। একদিন আগেই মুখ খুলেছে আরজি কর মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। কোর্ট চত্বরে চিৎকার করে সে দাবি জানায়, সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। দফতর আমাকে চুপ থাকতে বলেছিল।
এদিকে রাজ্যে সিভিক নিয়োগ, কর্মপদ্ধতি নিয়ে আগের শুনানিতে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে হলফনামাও দিতে বলা হয়েছিল। আরজি করের ঘটনার পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এমনকী, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে প্রশ্নও। নিরাপত্তা পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ কতদূর এগিয়েছে তা শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য সরকার।
গত শুনানিতে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি রাজ্যের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়রদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? তাঁদের যোগ্যতার মান কী? কী পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়? তাঁদের আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তা কোন প্রক্রিয়ায় যাচাই করা হয়? রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিভিক নিয়োগে রয়েছে কমিটি।
নিরাপত্তা পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ কতদূর এগিয়েছে তা শীর্ষ আদালতে জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা পরিকাঠামো-সহ অন্য কাজে ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডিউটি রুম তৈরির কাজ হয়েছে ৯৭ শতাংশ। শৌচাগার তৈরির কাজ হয়েছে ৯৫ শতাংশ হয়েছে বলেও দাবি করে রাজ্য। সিসিটিভি বসানোর কাজ সম্পূর্ণ।