কোজাগরীতে মধ্যবিত্তের পকেটের লক্ষ্মীতে টান!

Prabir Mondal
2 Min Read

জ্যোতির্ময় মণ্ডল, মন্তেশ্বরঃ শারদীয়া দুর্গা উৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমার তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার আরাধনা করা হয়। প্রতি ঘরে ঘরেই প্রায় এই দেবী কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পত্তি দেবী। তাই ধন সম্পদের আশায় ঘরে ঘরে এই লক্ষ্মী পূজা হয়ে থাকে। নারী পুরুষ সবাই এই পূজায় অংশগ্রহণ করে। তাই এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার উপলক্ষে ফলের বাজার থেকে, দশকর্মার ও প্রতিমা সহ সব জিনিসই অগ্নিমূল্য। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মী পূজার আয়োজন করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে সাধারণ মধ্যবিত্তের কাছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। সকাল থেকে মন্তেশ্বরের বাজারে লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে ফলমূল, লক্ষ্মীর প্রতিমা, দশকর্মা কেনাকাটা করার ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। মন্তেশ্বর বাজারে অনেক ব্যবসায়ীরা প্রতিমা নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ছোট ছোট ছাঁচের লক্ষ্মী প্রতিমাই মূল্য মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। একটু বড় প্রতিমা কিনতে গেলে হিমশিম খেতে হচ্ছে গৃহস্থদেরকে। এদিন ফলের বাজারে গিয়েও দেখা যায় শসা ৬০টাকা থেকে ৭০টাকা কেজি, নারকেলের প্রতিপিস প্রায় ৪০টাকা, আপেল ১৫০টাকা কেজি, দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলের দামও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলে জানান ক্রেতারা। মন্তেশ্বর বাজারের এক ফল ব্যবসায়ী দেবপ্রিয়া গড়াই বলেন, ফলের দাম একটু বেশি বলে বাজার সেভাবে জমে নাই, কেনাকাটা একটু কম হচ্ছে। সব ফল বিক্রয় হবে কিনা তার জন্য চিন্তায় রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিমা সাজানোর সরঞ্জাম থেকে চাঁদমালা , মালা সহ দশকর্মার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। এর ফলে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা উদযাপন করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে বলে জানান তারা। তাই তাদের একটাই কথা এই কোজাগরীতে মধ্যবিত্তের পকেটের লক্ষ্মীতে টান পড়েছে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *