দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজারা এখন আর নেই, নেই রাজ্যপাট। ভাঙ্গাচোরা দেওয়ালের কান পাতলে আজও যেন শোনা যায় মল্ল রাজাদের সেই প্রাচীন ইতিহাসের পদধ্বনি। প্রাচীন রীতি ও ঐতিহ্যমেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজাদের কুলদেবী মৃন্ময়ীর পুজো। এই পুজোর সূচনা করে রাজ পরিবার। পাহাড়ের উপর কামানের তোপ দেগে ঘোষণা করা হলো দেবীর আগমন বার্তা। প্রাচীন রীতি মেনে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হল এই দুর্গাপুজো। টানা ১৮ দিন চলবে এই পুজো। তবে পট পুজোয় এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শহরের শাঁখারি বাজারের ফৌজদার পরিবারের সদস্যরা ধারাবাহিকতা মেনে আজও প্রতিবছর বড় ঠাকুরানী, মেজো ঠাকুরানী ও ছটো ঠাকুরানীর আলাদা-আলাদা তিনটি পট আঁকেন। মন্দিরে দেবী মৃন্ময়ীর প্রতিমার পাশেই এই তিনটি পট রেখেই পুজো হয়। ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ, বাংলার ৪০৪ সাল ৩০৩ মোল্লাব্দে তৎকালীন রাজা জগৎ মল্ল বিষ্ণুপুরে দেবী মৃন্ময়ীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মৃন্ময়ী মল্ল রাজাদের কুল দেবী।
অতিতে রাজাদের আমলে যে আড়ম্বর ছিল বর্তমানে তাতে কিছুটা ভাটা পড়লেও শহরবাসীর মধ্যে উৎসাহের ভাটা এতোটুকুও কমেনি বরং বেড়েছে। বৃহস্পতিবার তোপধ্বনি মাধ্যমে সূচনা হয়ে গেল রাজ পরিবারের পুজোর। প্রাচীন ঐতিহ্য আর পরম্পরার সাক্ষী থাকতে আজও জেলা,রাজ্য তথা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এই পুজোয়।
Social