টুডে নিউজ সার্ভিসঃ প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার, সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ পাম অ্যাভিনিউতে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বয়সজনিত রোগ তাঁকে কাবু করে দেয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে মে মাসে কোভিডে আক্রান্তের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। হাসপাতাল-বাড়ি এভাবেই জীবনের শেষ কয়েকটা বছর কাটাতে হয়েছে বাম জমানার শেষ সেনাপতিকে।
বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে ট্যুইট করেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ২০০০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা রাজনৈতিক মহল।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পুত্র। কলকাতায় জন্ম হলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পূর্বপুরুষদের আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশে। স্কুল জীবনে তিনি ছিলেন শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের ছাত্র। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে বিএ পাস করেন তিনি। যোগ দেন শিক্ষক হিসেবে একটি সরকারি স্কুলে।
১৯৬৬ সালে সিপিএম দলে প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেন খাদ্য আন্দোলন–সহ দলের নানা কর্মসূচিতে। ছিলেন দলের যুব শাখা ডেমোক্রেটিক ইউথ ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত প্রথম বাম সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৯-তে উপমুখ্যমন্ত্রীর হন। ২০০০-তে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জ্যোতি বসু সরে দাঁড়ালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৬ থেকে ২০১১, পর পর দুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে ২০১১-তে প্রবল তৃণমূলের হাওয়ায় নিজের দীর্ঘদিনের গড় যাদবপুরেই পরাজিত হন তিনি।
Social