দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ ভারতীয় রেল পুজোর আগেই শেষ করতে চলেছে তাদের বেশ কিছু প্রকল্প। যাত্রী সুবিধার জন্য ভারতীয় রেল বরাবর বিশেষ অত্যাধুনিক প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। তবে এই প্রতিবেদনে জানতে পারবেন কোন জায়গায় পূরণ হতে চলেছে স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে পুজোর আগেই পাতা হবে নতুন রেললাইন যার জন্য দীর্ঘ বছর অপেক্ষা করেছিল সেখানকার মানুষ।
নয়া রেললাইনের ফলে পুজোর আগেই যাতায়াতের ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে এইসব জায়গায়। আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিই কোন জায়গায় তৈরি হতে চলেছে নতুন রেললাইন।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এবার উপহার পাবেন হাওড়া যাতায়াতের নতুন রেললাইন। কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে বাঁকুড়া-মশাগ্রাম রেললাইনের , খুব শীঘ্রই সংযুক্ত হবে বর্ধমানের কর্ডলাইনের সঙ্গে। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন যে, চলতি মাসেই নতুন রেলপথ চালু হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মঙ্গলবার এসেছিলেন মশাগ্রাম বাঁকুড়া রেললাইন সংযুক্তিকরণের কাজ পরিদর্শনে । তিনি বলেন যে সমস্ত কাজ যদি স্বাভাবিকভাবে চলে তাহলে চলতি মাসের কুড়ি তারিখের মধ্যেই মশাগ্রামের সঙ্গে বাঁকুড়া রেল সংযোগের উদ্বোধন হয়ে যাবে। এই রেললাইনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মানুষ দাবি করছিলেন, এমনকি বারংবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। রেললাইন সংযুক্তিকরণের কাজ প্রায় শেষের পথে।
রেলযাত্রীরা বহুদিন ধরে দাবী করছিলেন বাঁকুড়া হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম রেললাইন সংযুক্তিকরণ করতে হবে। যদি এই লাইনের সংযুক্তিকরণ ঘটে তাহলে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগ ঘটবে। ১৯৯৫ সালে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় এবং এই কাজ শেষ হয়েছিল ২০০৫ সালে। এই বছরই শুরু হয় সোনামুখী পর্যন্ত ট্রেন চালানো। পরে ধাপেধাপে রেললাইন পাতা হয় মশাগ্রাম পর্যন্ত।
যদি বাঁকুড়া থেকে খড়গপুর হয়ে হাওড়ার যেতে হয় তাহলে এর দূরত্ব হলো মোট ২৩১ কিলোমিটার। একবার এই নতুন রেলপথ চালু হয়ে গেলে বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব কমে হবে ১৮৫ কিলোমিটার। এই নতুন রেলপথের সংযুক্তিকরণের ফলে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ লাভবান হবেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, লাইনের কাজ শেষ হলে লোকাল ট্রেন-সহ অনেক দূরপাল্লার ট্রেনকেও এই পথে চালানো হতে পারে।
Social