টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বর্ধমানে আদিবাসী তরণী খুনের ঘটনায় পাঁশকুড়া থেকে এক যুবককে গ্ৰেফতার করলো বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতকে শনিবার আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন করেন।
একদিকে আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। আর এরই মধ্যে গত ১৪ আগষ্ট বর্ধমানের নান্দুরে ঝাপানতলায় এক আদিবাসী তরুণী খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ১০ দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে ধরা হয় অজয় টুডু নামে এক যুবককে। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। আদালতে তাকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। আদালত তা মঞ্জুর করে। ধৃতের পোশাক ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ধৃতের অজয় টুডু সে নিহত প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা-র পূর্বপরিচিত। ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার কাকরাপুঞ্জি গ্রামে। এদিন তাকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার হাউর থেকে ধরেছে সিট। রাতেই তাকে বর্ধমানে আনা হয়। অভিযুক্তের বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর। নিহত প্রিয়াঙ্কার মতো অজয়ও কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে থাকতেন। সেখানেই দু’জনের পরিচয়। পরে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক বিচ্ছিন্নর বিষয়ে দু-জনার মধ্যে একটি মনোমালিন্য দেখা দেয় এই থেকেই এই হত্যা। অভিযুক্ত যুবক গত ১৪ আগস্ট রাতে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। দু’জনের মধ্যে এদিন মতপার্থক্য হয়। তার পরেই তরুণীকে গলা কেটে খুন করেন অভিযুক্ত।’’ যদিও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। তিনি আরও জানান, গত ১২ আগষ্ট ব্যাঙ্গালোর থেকে দুজনা একসাথে বর্ধমানে আসে। গত ১২ তারিখ থেকে বর্ধমানেই থাকে যুবক। এরপর গত ১৪ তারিখ রাতে কিশোরী যখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই কিশোরীকে খুন করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এই তরুণীর খুনিকে গ্ৰেফতারের দাবিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে থানা ঘেরাও থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। এর পাশাপাশি কিশোরী খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্ৰেফতার ও শাস্তির দাবিতে সরব হন রাজনীতি থেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যে সাড়ে সতটা নাগাদ পাঁশকুড়া থেকে গ্ৰেফতার করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার গত ৫-৬ বছরের ক্যারিয়ারে এই ধরনের ঘটনা দেখিনি, যেখানে অভিযুক্তকে ধরতে অন্যান্য জেলার পুলিশ সাহায্য নিতে করেছে।”
Social