জ্যোতির্ময় মণ্ডল, মন্তেশ্বরঃ শতাব্দী প্রাচীন মন্তেশ্বর ব্লকের দেনুর অঞ্চলের ধেনুয়া গ্রামে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই এই পুজোয় যোগদান করে। এই পূজা ধেনুয়া গ্রামের ৩-৪দিন আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে মহাসমারোহে হয়। আর এই পূজা ঘিরে এলাকায় একরকম উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এদিন দেনুর পঞ্চায়েত প্রধান মকদম হোসেন শেখ গ্রামের বাসিন্দা তথা পূজা কমিটির কর্মকর্তারা জানান, প্রত্যেক বছর জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বাৎসরিক ধর্মরাজের পূজা হয়। এই বাৎসরিক পূজা হয় ধেনুয়া গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের পাড়ার মসজিদের কাছাকাছি ধর্মরাজ মন্দিরে। এই মন্দির থেকে ধর্মরাজের পুজো হওয়ার পর ঠাকুর বাজনা সহকারে সন্ন্যাসী ও সেবাইতরা মাথায় করে গ্রাম ঘুরিয়ে মন্দিয়ে নিয়ে যায় ধর্মরাজ ঠাকুরকে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও পূজার কর্মকর্তারা আরও জানান, গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করার জন্য যাতে এই পুজো উপলক্ষে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য তাই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকে। এই পুজোয় মন্তেশ্বরের বিডিও গোবিন্দ দাস, মন্তেশ্বর থানার ওসি কুনাল বিশ্বাস, আইপিএস পদ মর্যাদার জেলার এক পুলিশের কর্মকর্তা, কালনা মহকুমার এসডিপিও, কালনা মহকুমার পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টর উত্তম মণ্ডল, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা সাহা, সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ উপস্থিত হয়ে পুজো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।
পূজা উপলক্ষে গ্রামে চার পাঁচ দিন যাত্রা, বাউল, অর্কেস্ট্রার সহ প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা ভাবে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজা উপলক্ষে ধেনুয়া গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে। ধেনুয়া গ্রাম সহ আশপাশে গ্রামের মানুষজন সহ প্রত্যেকদিন পূজা উপলক্ষে ধেনুয়া গ্রামের পূজা তলায় পূজা দেখতে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষজন সমাগম হয়।
এই পুজো উপলক্ষে মেলাও বসে। দূর দুরন্ত গ্রামের মানুষজনেরা উপবাস করে ধর্মরাজের কাছে পুজো দিতে আসেন।