দলনেত্রীর বিরুদ্ধে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

Burdwan Today
3 Min Read

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকায়। দলের মহিলাদের অভিযোগ, উমা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত যার দলনেত্রী দায়িত্বে রয়েছেন পায়েল রায়। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সিসি লোনের থেকে তারা ৩ লাখ টাকা পান তা ভাগ করে প্রত্যেকের ত্রিশ হাজার টাকা। কিন্তু তাদের ১০ জনের মধ্যে ৬জন সেই ৩০ হাজার টাকা নেন এবং বাকি ৪ জন সেই টাকা ফিরিয়ে দেন। দলের দলনেত্রীকে তারা বলেন সেই টাকা তাদের ওই সিসি অ্যাকাউন্টে জমা করতে কিন্তু তখনই তিনি জানান যে, সেই টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে না সেই টাকা গোষ্ঠীর ফান্ডে জমা করতে হবে। কিন্তু পরক্ষণে দেখা যায় উনি সে টাকা জমা করেননি এবং ব্যাংকের বই কাউকে দেখাতে চান না পরবর্তীতে কয়েকজন গোষ্ঠীর মহিলা মিলে ব্যাংকে গিয়ে তারা সম্পূর্ণ লেনদেনের ডিটেলস বার করেন তারা তখনই জানতে পারেন তাদের অর্থ জমা পড়েনি। এরপরে তারা ওই দলনেত্রী পায়েল রায়-এর বাড়িতে উপস্থিত হন। ঠিক তার পরের দিনে ২৮ হাজার টাকা জমা করেন। কিন্তু জমা না দেওয়া অর্থ সুদ সহ প্রায় ১,২০,০০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতি। শুক্রবার বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাকক্ষে সকল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা উপস্থিত হয়ে ওই দলনেত্রীকে সেই টাকা পরিশোধ করতে বলেন এবং কাগজে লিখিত আকারে বলা হয় সে যেন সাত দিনের মধ্যে সেই টাকা সুদসহ যেন পরিশোধ করেন। 

কিন্তু অপরদিকে অভিযুক্ত পায়েল রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ রাজনীতি চক্রান্ত আমি বর্তমানে বিজেপির জেলার একটি দায়িত্ব পেয়েছি তাই আমাকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে এই অভিযোগ তুলে মহিলাদের খেপিয়ে দিয়েছে। আমি এই উমার গোষ্ঠীর দলনেত্রী আমার দায়িত্ব পড়ে না যে টাকা জমা করার সেই দায়িত্ব থাকে দলের ক্যাশিয়ার বা সেক্রেটারির। তারা তাদের দায়িত্ব কখনই পালন করেন না। আমি ঠিকঠাক সময়ে টাকা জমা করেছি তার সম্পূর্ণ প্রমাণ আমার কাছে আছে। যে টাকা আমাকে জমা করতে বলা হচ্ছে তা আমার পক্ষে ৭ দিনের মধ্যে জমা করা সম্ভব নয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা এই নিয়ে আমি আরও উচ্চ মহলে যাব। 

পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান জয়দেব ব্যানার্জী জানান, আমাদের কাছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা অভিযোগ করেন তাদের দলনেত্রী পায়েল  রায়ের বিরুদ্ধে। যে তারা তাদের ঋণের ১,২০,০০০ টাকা জমা করেছেন কিন্তু সে টাকা তিনি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেননি। এমনকি প্রত্যেক মাসে যে টাকা জমা হয় তাও তিনি জমা করেননি। তাই ওই গোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখতে আমরা ওই গোষ্ঠীর ১০ জনকে আজ পঞ্চায়েতে ডাকি এবং সভাকক্ষে বসে সকলের উপস্থিতিতে তা মীমাংসা করা হয় এবং লিখিত আকারে গোষ্ঠীর খাতায় রেজুলেশন নেওয়া হয় যে তিনি সেই টাকা ৭ দিনের মধ্যে শোধ করবেন। রাজনৈতিক চক্রান্ত তিনি যেটা দাবি করছেন সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কারণ প্রধান বা উপ-প্রধান পঞ্চায়েতে কোনো রাজনৈতিক দল দেখে উপভোক্তদের সাহায্যের হাত বাড়ায় না বা সহযোগিতা করে না।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *