Breaking News

জামাই-আদরের পরম্পরায় জামাইষষ্ঠী

 

টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ বৈদিক শাস্ত্রে তাঁরা ব্রাত্য। কিন্তু তাঁদের স্থান সাধারণ মানুষের হৃদমাঝারে। বাংলার সেই প্রচলিত লৌকিক জামাইষষ্ঠী আর জামাই-আদরের পরম্পরা।  মূলত জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে জামাই আপ্যায়নের জন্য। মধ্যযুগ মঙ্গলকাব্যের রচনাকাল। সে সময় থেকেই বাংলায় এই রীতির প্রচলন বলে মনে করা হয়। শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের দিনগুলো যাতে মসৃণ হয়, সেই ভাবনা থেকেই জামাইবরণ।

কার্যতঃ রাত পোহালেই রবিবার জামাই বরণ অর্থাৎ জামাইষষ্ঠী। মূলত মেয়ে-জামাইকে আপ্যায়ন করতে মিষ্টি ও ফলের দোকানে ভীড় জমছে ক্রমিশই। গতবছর করোনা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জামাইষষ্ঠীর বাজার। আর এবছর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে জামাইয়ের পাতে মাছ মিষ্টির পাশাপাশি ফল দিতে ব্যাগ নিয়ে হাজির হয়েছে শ্বশুরমশাইরা বর্ধমানের স্টেশন বাজার ও বিসি রোডে। শনিবার বর্ধমানের দুই বাজারে গিয়ে দেখা গেল ফলের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। বর্ধমানের বাজারে লিচু ৮০ টাকা, আম ৫০-৮০ টাকা, কাঁঠাল ১০০-১৫০টাকা। কিন্তু, বাজারে আমের পরিমাণ যথেষ্ট কম। 

এদিন এক ক্রেতা জানান, এবছর আম বাজারে অন্যান্য বছরের তুলনায় জোগান কম এবং দাম অনেকটাই বেশি। আর বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে একটি জামাইষষ্ঠী। আর বছরের একটাই দিনতো তাই ব্যাগ হাতে বাজারে বেরিয়ে পরেছি জামাই আপ্যায়নে ফল-মিষ্টি-মাছ কিনতে।

About Burdwan Today

Check Also

মদের টাকা জোগাড় করতে মজুত রাখা ধান বিক্রির চেষ্টা, স্ত্রীর কাছে ধরা পড়ে লাঠির আঘাতে মৃত্যু স্বামীর

দেবনাথ মোদক, বাঁকুড়াঃ বাড়িতে মজুত রাখা ধান বাজারে বিক্রি করে ফের মদ খাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *