টুডে নিউজ সার্ভিস, বর্ধমানঃ শিক্ষক দিবসে একদিকে গোটা দেশ যখন শিক্ষকদের অবদানের কথা তুলে ধরে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। অন্যদিকে সেইদিনেই শিক্ষকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এদিনের অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষকদের একহাত নিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকেরা ক্লাসের সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করেন, মোবাইলে কথাবার্তা বলেন, চল্লিশ মিনিটের ক্লাসে কুড়ি মিনিট কাটিয়ে দিচ্ছেন, এটা খুব দুঃখের ও বেদনার। কোভিডে শিক্ষকরা ঘরে বসে মাইনে পেয়েছে এরপর ছাত্রদের গড়ার দকায়িত্ব কার? মেধা ঠিক করা শিক্ষকদের কাজ, যেটা মিশনারি স্কুল, খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল কিংবা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল করে থাকে। এই ধরনের স্কুল গুলি ভালো রেজাল্ট করতে পারে তার প্রধান কারন শিক্ষক, ছাত্র এবং অভিভাবক এই তিনটি খুটি তারা তৈরি করতে পেরেছে। তাই সরকারের অর্ডারের অপেক্ষায় না থেকে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এসে কোচিং করানোর পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বর্ধমানের টাউনহলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।
Social