দেবজিৎ দত্ত, বাঁকুড়াঃ সারাবাংলা মিড-ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বাঁকুড়া জেলা শাসককে দশ দফা দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলির রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত মিড-ডে-মিল কর্মীরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্য। উক্ত পরিবারের পুরুষেরা হয় দিনমজুর নয় পরিযায়ী শ্রমিক। আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়েই সারা বছর তাদের সংসার অতিবাহিত হয়। তার উপর দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই রকম পরিস্থিতিতে সম্প্রতিককালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দ্রব্যমূল্য ঘটায় তারা যে পরিমাণ বেতন পান তাতে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার সারাবাংলা মিড-ডে মিল কর্মী নিয়োগ ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বাঁকুড়া জেলা শাসককে দশ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মূলত তাদের দাবি, (১) অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। (২) মিড-ডে মিল কর্মীদের স্থায়ী সরকারী কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে। (৩) দশ মাস নয় বার মাসের বেতন দিতে হবে। (৪) মাসিক ন্যূনতম ২১ হাজার টাকা দিতে হবে। (৫) মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে। (৬) ছাত্র-ছাত্রীদের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ করতে হবে। এই ধরনের দশ দফা দাবি নিয়ে প্রথমে তারা বাঁকুড়া জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে জমায়েত হন এবং সেখানে তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাদের একটি প্রতিনিধিদল বাঁকুড়া জেলা শাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
তপতী সরদার নামে এক মিড-ডে মিল কর্মী বলেন, আমাদের এই দাবি দাওয়া মানা না হলে ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলন চলবে। দরকার হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব।