শ্রাবনী ঘোষ, কালনাঃ মাত্র ৫ মিনিটে ১৮ টি বাংলা কবিতা আবৃত্তি করে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল দাঁইহাটের বাঘটিকরার এলাকার খুদে পড়ুয়া আয়ুশ নন্দী। বর্তমানে সে কাটোয়া হলি চাইল্ড স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাঁর বাবা অভীক নন্দী ও মা সোমা নন্দী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা। ছোটবেলা থেকে তাদের হাত ধরেই খুদে আয়ুষের কবিতা বলার হাতেখড়ি, পরবর্তী সময় দাঁইহাটেই আরেক বাচিকশিল্পী প্রদীপ্ত রায়ের কাছে বর্তমানে সে কবিতা আবৃত্তির শিক্ষা নিচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে স্কুল বন্ধ আজ সেই সময় ভিডিও রেকর্ড করে পাঁচ মিনিটে আঠারোটি কবিতা বলে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসের দপ্তরে পাঠায় আয়ুশের বাবা মা। কিছুদিন পরই ইমেল মারফত তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের ছেলে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছেন। কয়েক দিন আগেই তার বাড়িতে এসে পৌঁছায় ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসের তরফ থেকে মেডেল শংসাপত্র। ছোট্ট মফস্বল শহর দাঁইহাটের মতো জায়গা থেকে খুদে পড়ুয়ার প্রতিভা সামনে আসায় উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষ জনেরা। পাশাপাশি অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্যারাটে প্রতিযোগিতা সহ একাধিক খেলায় অংশগ্রহণ করে তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে পুরস্কারও কম নয়। পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি করে রাজ্যস্তরের পুরস্কারও পেয়েছে সে। খুদে পড়ুয়া আয়ুশ এদিন সে জানায় বড় হয়েছে কলেজের প্রফেসার হতে চায়।
আয়ুশের বাবা অভীক নন্দী তিনি জানান, আঠারো টি কবিতার মধ্যে সুকুমার রায়ের “কত বড়”, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “ক্ষান্ত বুড়ির দিদি শাশুড়ি”, কাজী নজরুল ইসলামের “ভোর হলো দোর খোলো” সহ একাধিক কবিতার কোলাজের সম্মিলিত একটি ভিডিও রেকর্ডিং করে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসের দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল, তারপরই কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতে ডাক মারফত এসে পৌঁছায় তার ছেলের সাফল্যের শংসাপত্র ও মেডেল ।
Social