টুডে নিউজ সার্ভিস, বোলপুরঃ জিএসটির চাপে পরে আত্মঘাতী বোলপুরের ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ জিএসটির অনৈতিক চাপের বিরুদ্ধে সরব হল বোলপুরের ডিস্ট্রিবিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। কোম্পানি গুলির অনৈতিক চাপের বলি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। অর্থের অভাবে জিএসটি মেন্টেনের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় চাপের মুখে পরে আত্মঘাতী বোলপুরের ব্যবসায়ী৷ নাম – প্রদীপ কুমার দত্ত (৫২), বাড়ি বোলপুরের মিস্ত্রীপাড়ায়৷ তিনি তেল ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ৯ জুলাই বোলপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনে কাটা পরে মৃত্যু হয় তাঁর৷
প্রসঙ্গত, জিএসটি- আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সরকারি খাতায় রেজিষ্ট্রেশন থাকে৷ কিন্তু, এই জিএসটি মেন্টেনের জন্য বছরে একটা বড় অঙ্ক ব্যয় হয়। যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বহন করা সম্ভব পর হয় না। তাই এই সকল ব্যবসায়ী জিএসটি-র রেজিস্ট্রেশন আছে এমন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসা করে থাকেন৷ এমন কোন আইন নেই যে, জিএসটি রেজিষ্ট্রেশন না থাকলে ব্যবসা করা যাবে না৷ কিন্তু, বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় একাংশ কোম্পানি সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে এই সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে৷ কারন, যাতে বড় ব্যবসায়ীরা কোম্পানি গুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবসা করে। ব্যবসায়ীদের উপর হওয়া এই ধরনের অন্যায় বন্ধ হওয়া জরুরি। এটি পরোক্ষ ভাবে হত্যা৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে বোলপুর ডিস্ট্রিবিউটার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নিহতের দাদা বসন্ত কুমার দত্ত সহ এসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল আগরওয়াল।
নিহতের দাদা বলেন, “জিএসটির চাপে আমার ভাইকে অকালে চলে যেতে হল। জিএসটি জন্য কোম্পানি গুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে থাকে৷ তাতেই প্রাণ হারাল আমার ভাই।”
বোলপুর ডিস্ট্রিবিউট এসোসিয়েশন সভাপতি সুশীল আগরওয়াল বলেন, “জিএসটি রেজিস্টেশন থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই৷ কিন্তু, কোম্পানি গুলি মুনাফার আশায় চাপ দিতে থাকে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি। আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ও বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ জিএসটি অফিসে জানাব।”
Social