নিখিল কর্মকার, নদীয়াঃ কোভিড বিধি বজায় রাখতে রথের বদলে ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে চেপে মাসির বাড়ি পৌঁছালেন জগন্নাথ দেব। প্রত্যেক বছর শ্রাবণ মাসের বিশেষ এই দিনটিতে ঘটা করে ভগবান জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় নদীয়ার মাজদিয়ার টুঙ্গী মৌলিক বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণে। মৌলিক বাড়ির এই মন্দিরে সারা বছর ধরে নিত্য পূজিত হন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। রথযাত্রা উপলক্ষে অন্যান্য বছর বিশেষ এই দিনটিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সুসজ্জিত রথে করে জগন্নাথ দেব মৌলিক বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বেরোনোর পর আনুমানিক এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মাজদিয়া বাজার সংলগ্ন মাসির বাড়িতে পৌঁছান। রথের রশি স্পর্শ করতে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে এই স্থানে।
এছাড়াও রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে মেলা বসে এলাকায়। কিন্তু এই বছর করোনা অতিমারীর কারণে সরকারি নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কার্যত অনাড়ম্বরভাবে পালিত হল পঞ্চাশ বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী মৌলিক বাড়ির রথযাত্রা উৎসব। সোমবার সকাল সাতটায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের ধর্মীয় পরম্পরাকে ভঙ্গ করে মন্দির থেকে রথে চেপে যাওয়ার বদলে ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে করে জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা পৌঁছালেন মাজদিয়া বাজার সংলগ্ন মাসির বাড়িতে। এছাড়াও এলাকায় মেলা না বসার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এই বছর উৎসবের আনন্দ বিলীন হয়ে গিয়েছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে কচিকাঁচাদের শিশুমনে।
পাশাপাশি স্বাভাবিক অন্যান্য বছরগুলিতে বাড়তি রোজগারের আশায় মেলায় পাঁপড় ভাজা, পুতুল ও জিলিপির মতো বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় দোকান তৈরি করে ব্যবসা করেন এলাকার গরিব মানুষজন। এই বছর করোনা বিধিকে রক্ষা করতে গিয়ে সেই দিক থেকেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় গরিব মানুষ জন ও ব্যবসায়ীদের। যার ফলে রথযাত্রার উৎসব পালিত হলেও এই বছর মনে উৎসবের রং স্পর্শ করতে পারেনি মাজদিয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের।
Social